বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
এস এল টি তুহিন, :বরিশালে পানিপথের যাত্রীদের সেবায় যুক্ত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক লঞ্চ প্রিন্স আওলাদ ১০। ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে বরিশালে পৌঁছে প্রিন্স আওলাদ। বরিশাল নৌ বন্দরে তাই সকাল থেকেই উৎসাহী দর্শকদের ভিড়। প্রিন্স আওলাদ ১০ জলযানটিকে একনজর দেখার আগ্রহ সকলের।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশাল নৌ বন্দরে অপেক্ষমান আটটি যাত্রীবাহী লঞ্চের প্রায় সবগুলোই ছিলো চোখে পড়ার মতো। মজার বিষয় ছিলো এ দিন নৌঘাটে সুরভী ৭ ছাড়া বাকী সাতটি লঞ্চই ছিলো ১০ সিরিজের। দূর থেকেই প্রিন্স আওলাদ ১০ দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলো ওর বহিঃসৌন্দর্যের কারণে। পাশেই সারিবদ্ধ ছিলো সুন্দরবন ১০, পারাবত ১০, মানামী ১০ যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো।
প্রিন্স আওলাদ ১০ এর ভিতরটা ঘুরে আরো মুগ্ধ হতে হলো। দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রিত ইঞ্জিনের বিশাল আকৃতির এই বাহনটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে অত্যাধুনিক জলযান বা যাত্রীবাহী লঞ্চ বলে জানালেন প্রিন্স আওলাদের ছেলে যুবরাজ হোসাইন।
যুবরাজ বলেন, প্রায় ১১০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিন্স আওলাদ ১০ এ রয়েছে জিপিএস ট্রাকার, রাডার। ভিএইচএফ ইকোসাউন্ড সহ অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হয়েছে যাত্রীবাহী এই লঞ্চটিতে।
প্রিন্স আওলাদ ১০ লঞ্চটি নৌ পরিবহন দপ্তরের অনুমোদিত সকল নিরাপত্তা সম্বলিত নকশা অনুযায়ী নৌ স্থপতি ও প্যানেল সুপারভাইজারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে বলে জানান ব্যবস্থাপক এবিএম মাহফুজুল হক মাসুম।
তিনি জানান, নৌযানটিতে সর্বাধুনিক অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিল্টেড সিওটুসহ পরিবেশ বান্ধব এসটিপি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোনোরকম স্যানেটারি বর্জ্য সরাসরি নদীতে যাবেনা।
এতে রয়েছে ৭০টি ডাবল ও ১২৪ টি সিঙ্গেল কেবিন। যার ভাড়া যথাক্রমে ২৪০০ ও ১৪০০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে ৮ টি ভিআইপি ও ১০টি ফ্যামেলি কেবিন।
প্রিন্স আওলাদ শিপিং এর সর্বমোট ১১টি লঞ্চ বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। এরমধ্যে বরিশাল ঢাকা রুটে এই প্রথম প্রিন্স আওলাদ ১০ চলাচল অনুমোদন পেয়েছে বলে জানান কতৃপক্ষ।